বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই, ২০২১

জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়-এর কবিতা


আগ্রাসন 

জলচর জানে না মরাবালি কতটা খাদক পিপাসা এক বাঁচার প্রত্যাশা
প্রিয় গ্রামের বুকে লেখা নাম অথবা সেই গ্রাম নাম বিস্ফোরকে মুছে দেওয়া হবে
বস্তুত বদলে যায় মুখ মানুষ আশ্রিত আর দখলদারের সংজ্ঞাও বদল হয়?
ইতিহাসের মাত্রাহীন বিকৃতি আর ভাঙচুর খেলা কথাগুলো ভুল লিখে রাখে
ফুল ফুল শিশুমুখে রক্ত আর আতঙ্কের দাগ মানবতা ছিঁড়ে খায় গিলোটিন।

মাটির শিকড় গেলে তীব্র খাদক ছিন্নমূল উদ্বাস্তুদল অধিকারহীন হতাশ্বাস
বেদনার মরুরাতে ঈশ্বর খোঁজে.....
প্রার্থনাগুলো মরাফুল নীরস বালুবেলায় মাখে তাপ ওয়েস্ট ব্যাংক গাজা
স্বপ্নের ফিলিস্তিন মুছে যাবে ?
ইতিহাসের পাপ আর ভাঙাচোরার আগুনে পুড়ে যাই।

পরিকল্পনা সূত্র ছিড়ে দেয় আগত ভক্ষক কূটবুদ্ধি ছলক বিভেদাস্ত্র শাণায়....
দুর্বল হননের নরমেধ জমে ওঠে।
শ্রেণিভেদ তত্ত্বের দুর্লঙ্ঘ্য সীমায় মাথা কুটে সব মানবতা চূর্ণ হয়ে যায়।
নিরস্ত্র বধে তারা খুব সাবলীল না যুদ্ধনীতি না আত্মগ্লানি
সেইসব হননের পাপ কি তোমাকেও ছোঁয় না হে সুখী মানুষ ?
নির্বিঘ্ন সুখ খুঁজে ফেরো সন্তানের ভাবীসুখ সাজাও বাগানে.....
ওইদিকে তোমারই স্বজাতি স্বজন পোড়া বারুদ আর রকেটহানায় কাতরায়
ওই গণহত্যা তোমাকে পোড়ায় না !

উত্তরাধিকারের সুখ বড়ো উপভোগ্য কেন তবে ওদের জোটে না !

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন