বিবেকের গায়ে মরচে
বুকে জমে থাকা কষ্টগুলো জমাট বেঁধে
আমার হৃদয়টাকে ক্ষতবিক্ষত করছে।
এক বিশাল শূন্যতার মাঝে প্রতিটি নিঃশ্বাস যেন গোনা যায় ।
যেন প্রতিটি নিঃশ্বাস ফুসফুসে ধাক্কা খেয়ে ফিরে ফিরে আসছে ।
মনে হচ্ছে সব যেন শূন্যতা গ্রাস করে ফেলেছে ;
সব গান আজ বেসুরে, কবিতায় ছন্দ নেই, নদীতে প্রবাহ নেই, নজরুল কিংবা রবীন্দ্রনাথে আজ মায়া নেই।
সবেতেই যেন অতৃপ্ততা ।
অনুভব হচ্ছে এক ভীষণ ফোবিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে মানবজাতি ।
মৃত্যুর হাতছানিতে লতার মতো নুইয়ে পড়ছে প্রতিটি জীবন ।
মৃত্যু যেনো সবচেয়ে সহজ!
জীবনে অনিশ্চয়তা যেনো প্রকট হচ্ছে ।
ঈদের আনন্দের মাঝে কতোজন বাড়ি ছাড়া হলো;
পাকা ধান কেড়ে নিলো ভাঙা নদী বাঁধ।
দুবেলা অন্নের অভাব ভুলে সবাই কেমন মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজে খুঁজে মরছে।
যাদের ঠাঁই আছে তাদের চাহিদা অন্যকিছুর!
কেউ প্রেয়সী খুঁজছে;কেউ প্রেম খুইয়ে দেবদাস হয়ে মৃত্যুর দিন গুনছে।
এ এক সামাজিক অবক্ষয়! স্তব্ধ পৃথিবী অচলায়তন ডেকে আনছে।
অচলায়তন স্বার্থপরতা বৃদ্ধি করছে।
বহুজন কাজ হারিয়ে আজ দক্ষ সমালোচক ।
এভাবেই ঘরবন্দী থেকে থেকে বিবেকের গায়ে আজ মরচের ছিটে ।
কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পাচ্ছে না ।
আমার কষ্টে বুক ফেটে যায় ওদের জন্য,
যারা একদণ্ড ঘুমাতে পারে না, যারা চক্ষুলজ্জায় চিৎকার করে কাঁদতে পারে না ।
যাদের চোখের জল সূর্যোদয়ের সাথে সাথে উবে যায়।
কেউ কেউ তাদের দিকে লেন্সবন্দি হাত বাড়িয়ে দিল;নিঃস্বার্থতার ফন্দি এঁটে।
খতিয়ে দেখলে বোঝা যায় তীব্র স্বার্থান্বেষী চোখ জ্বলজ্বল করছে ।
আমার কষ্ট হয়! দুঃখ হয়!
সময়ের বিবর্তনে ওরা আরও অসহায় হয়ে পড়ছে।বিপদ যেনো পিছু ছাড়ছে না ।
জীবন ও মৃত্যু তাদের কাছে আলাদা কিছু নয়, মৃতের মতো বেঁচে থাকাই জীবন ওদের কাছে।
দারুণ বন্ধু লিখে যাও! কবিসুলভ সত্তা সবাই পায় না!
উত্তরমুছুনতোমার ভিতরের আগুন দিয়ে, বাইরের অলস লোকগুলোকে জ্বালিয়ে দাও