সোপানসীমার বাইরে
কাজ ছেড়ে কী করে বেঁচে আছো বিষচক্রে
অলস রোদের মতো ?
তোমার পা থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে চাকার ঘূর্ণি
হাত থেকে সরে যাচ্ছে সময়ের সরস ঢেউ ।
কাপড়মেলা তারে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে যে-জল
এক দুর্বিষহ দেহের জন্মদানের অপেক্ষায়
যার থেকে চঞ্চল হতে পারবে না আর কেউ --
বৈশাখী সন্ধের হাওয়া আর পালতোলা নৌকা ছাড়া ।
সূর্য তরুণ হবে বলে বসে আছি প্রতীক্ষায় ;
মানুষ হরদম তার পরিচয় ভেঙে
বেঁকে চুরে অন্য জীব হয়ে উঠতে চাইছে ।
এঁটোকাঁটা খেয়ে ঐ যে বেড়ালটা তার
নব্বই ভাগ সময় ঘুমিয়ে থাকতে পারে
কেননা তার লক্ষ্যগুলি দুরূহ নয় , দুর্লঙ্ঘ্যও নয় ।
মানুষের স্বপ্নমালা সোপানসীমার বাইরে চলে যাচ্ছে
বলেই ডানহাত বাঁ হাতকে ভেঙে মুচড়ে দিতে চাইছে ।
অনাস্থাপ্রস্তাবে পরাজিত অবসন্ন কালক্রম
পা থেকে মাথার কোথাও মদ্যক্রিয়া নেই
তবু বহমান উদাহরণের কোনও সংস্কৃতিমন্ত্রের চলাচল নেই
সবাই যেন নিষ্ক্রিয় গাভির মতো পিঠে বসিয়ে বয়ে নিয়ে চলেছে দূরদর্শী বকেদের ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন