ইন্দ্রাবতীর ডায়েরি থেকে
সরে যাও শুকনো পাতা; সরে যাও হৈচৈ ও মেঘ রাগ। আজকাল ভারী ঘুম পায়; জ্বরের ঘোরে বাবুই পাখির মতো ঘর বুনি। একজীবন, অথচ কত ঘরের স্বপ্ন বুকের ভিতর দেওয়াল সাজায়; রবিন ঠাকুরকে মেয়ের আঁকার খাতা থেকে ফ্রেমিং করে পুব দিকের আকাশ-নীল দেওয়ালে মেহগিনি ফ্রেমে ঝুলিয়ে রাখা...এসবই তো শুধু নয়, কিছু ঘর রাখা হয় আসবাবপত্রহীন। সেখানে আমাদের দেখা হয়। হাতে হাত রাখা হয়। মনে মন! কাব্যগ্রন্থ থেকে মই নিয়ে ফিরে আসে কতগুলো অচেনা মানুষ। এরা কারা? এরা কি রোজ আমাকে মেরে ফেলার কৌশল তৈরি করে? নাকি ছারখার লিখতে-লিখতে নেমে আসে? মঞ্জরী, বহুকাল পর তোমায় আজ কিছু লিখছি। নেশার ইশারায় রাইরানি কৃষ্ণনীল প্রপাতে সেরে নেয় রং-স্নান। বসন্ত যাবার আগে আমার তোমার কিছু কবিতার পঙক্তি মনে পড়ে। ছন্নছাড়া আমি সেসব রাখি বুক থেকে স্টাডি টেবলে। কোনোদিন মনের ভিতর আচমকা তার সাথে দেখা হয়ে যায়; বলার থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে না-বলা...চারপাশে হৈচৈ। ইন্দ্রাবতী চুপ। শক্তিশালী এক পাথর তার কণ্ঠের উপবনে।
একজীবন, অথচ কত-কত স্বপ্ন 'রিঙ্গা রিঙ্গা রোজেস..' গাইতে-গাইতে পরিক্রমা করে ফেলে পৃথিবী! মঞ্জরী, ভালো থেকো। এই বৈশাখে তোমাকে আঁকবো নিজের মতো... অনুমতি দেবে তো?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন