অক্ষরেরা উড়ে উড়ে পাখি
কবিতায় পদ্য মেশাতে গিয়ে যে লোকটি ধরা পড়ে গেলো
দীর্ঘকাল ধরে তাকে আর দেখাই গেলো না
অথচ তার স্ত্রী বলছে, লোকটি ভালো মানুষের মতো ছিলো!
কন্যা বলছে, বাবার হাত যেন চন্দ্র-সূর্যের স্রষ্টা!
আর প্রতিবেশি একদল পুরুষ:
যাদের কারো উঁচু বুক, লম্বা চুল, শার্ট ও কামিজের মাঝামাঝি পরিধেয় পরে
প্রতিদিনের মীমাংসা ঘটান
শুধু তারাই লোকটির প্রতিপক্ষ আজ!
সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে যারা
মধ্যরাতে লোকটির কাছে খাবার পৌঁছে দেয়
তাদেরও আছে লোকলজ্জা, পুলিশের ভয় –––
একদিন আমি নিশি রাইতে তাদের সঙ্গী হতে চাইলে
এদিক ওদিক তাকিয়ে কানে কানে আমাকে বলে:
‘ঘুমের সঙ্গে রাত্রি কিংবা দিনের সঙ্গে নিদ মেশানোর দায়ে
ধরা পড়ে যাবেন! মেনে নিতে হবে নির্বাসন!’
এসব কথার আগামাথা না বুঝেই আমি দুপাশে তাকিয়ে দেখি:
একদিকে জীবনানন্দ দাশ আর অন্যদিকে শক্তিদা’র মুখ
কেমন নির্ভার চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে!
আমারও দুঃসাহস বাড়ে
তাদের পিছে পিছে মধ্যরাতে ধরাপড়া লোকটির কাছে যাই
আমাকে দেখেই লোকটি হোহ হোহ করে প্রাণ খুলে হাসে, হাসে
এবং কাশে –––
আর আমি তাকে বলি:
‘তুমি কেমন করে গান করো হে গুণী’!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন