হৃদয়গ্রন্থি
নদীকে বলেছি–––‘নদী বড় হও’।
নদী বলে–––‘আমি জল ছাড়া বড় হই না
যত জল তত বড়’।
মানুষ কি একা বড় হয়?
প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে–––নদী আরও বলে
জলছাড়া আমি অবলুপ্ত হই
বাতিলও হই
বিনাশও হই
কুলরক্ষা হয় না।
কালগ্রাসে পড়ে কালসমুদ্রে হারিয়ে যায় কত নদী!
তালপুকুর ও খালবিলও জল দিয়েছে–––
আমি প্রফুল্ল হয়েছি,
ঝরনার জল পেয়ে ঝরঝরে
আকাশভাঙা বৃষ্টির জলে চনমনে
প্লাবনের জলে তাজা
ভূগর্ভস্থ জলে টলটলে।
জলই উচ্চতা বাড়ায়–––জলই গভীরতা বাড়ায়!
একটা পোড়োবাড়ি থেকে জলগ্রন্থি খুলে
যেন প্রসারিত হয়েছিলাম–––
তারপর মরুপথে
গিরিপথে
বনের ভেতর দিয়ে
জলের সাহচর্যে কুণ্ঠাহীনভাবে আমি প্রবহমান।
জলের কপটতা নেই--জলের কুম্ভীরাশ্রু নেই!
আমি শুধু এইটুকু জানি–––
জলের উদারতায় উদারপ্রকৃতি হয়ে উঠি
ঊর্মিমুখর হয়ে উঠি
কল্লোলিত হয়ে উঠি
হৃদয়গ্রন্থি খুলে ধরেছি আমিও!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন