মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

অমিতাভ দাস-এর কবিতা

নির্গ্রন্থ শ্রাবক

অনেক রাতের ভিতর দিয়ে ধীরে ধীরে একদিন শীত চলে গেল। আমাদের যৌবন যেভাবে চলে যায়। দুরন্ত কৈশোর। বসন্তের হলুদ। ফাল্গুনের সন্ধ্যার ভিতর বেজে উঠছে বিসমিল্লার সানাই। কেন, তা কে জানে! অনেক চুম্বন শেষে একদিন লেখা হল লালা আর লবনের লাজুক সংগীত। লেখা হল আঙুলের নখ, রক্তিম খিদের আদিম ভাস্কর্য।  চলতে চলতে হঠাৎ  একদিন থেমে গিয়েছিল তোমার সেই নিক্কনের ধ্বনি...  জীবন তখন তথাগত। শুদ্ধ সর্বংস্বহা। আচার সর্বস্ব জীবনে দেখি দূরে আমলকি বন, তৃষ্ণার আলো---নির্গ্রন্থ শ্রাবক


বেদনাপুর

আজকাল কারো সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে করে না আমার। মনে হয় পালিয়ে যাই কোথাও। ভাবনার গভীরে পলি জমে। কোথায় যাবো আমি? কার কাছে? কবিতা লিখি না, অনেক দিন। অনেক তো লিখেছি। কী হয় কবিতা লিখে? কী হবে?  বেদনার মতো রাত্রি নামে, ধীরে, সব বড় বিস্বাদ লাগে। আগে আমার পালিত বিড়াল ছিল, এখন নেই। আমি ওদের সঙ্গে কথা বলতাম। এখন মানুষকে আমার ভয় লাগে। মানুষের এই অরণ্যে কে যেন লিখে রেখেছে কুসুমের গান। অথচ কুসুম কোথাও নেই। বেদনা আছে। বিরহ আছে আকাশলীন। বেদনাপুরে  চলে যেতে হবে একদিন...একা এবং অর্বাচীন... 

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন