আমার রবীন্দ্রনাথ
চলে যায় দিন… নিবিড় ছায়ায়
কোথায় ছুটেছে সে… কোথায় কে জানে
এক বৈশাখ থেকে আর এক শ্রাবণ
বৃত্তাকারে সীমানা আঁকে রবির চলন
দুঃখ কান্না হাসি… জীবন ও মরণে
তারপর শুধু মাটি নির্মাণ পাথর খোদাই
রাশি রাশি সব রঙ তুলি খেলা
এতেই স্মরণ…
এতেই পূজা সারা হয়ে যায় বরণে।
সুখে আছি, দুখে আছি… ঘিরে আছি কাছাকাছি
ভালোবাসি তাই বিশ্বাসে মানি
অন্ধকারের অরূপ রূপেতে
আছে সে অন্য কেহ।
তাকে জেনে নিতে এ পথে সে পথে
বৃষ্টি গন্ধে মাটি মাখা সুরে
পায়ে পায়ে হেঁটে যাই বাউলিয়া আমি
তোমারি আখরে তোমারই যে গান গাই।
আঁধারের মতো অসীমের এই কাল
বড় ভয় লাগে… জাগে প্রেম বুকে
দিনের পরে দিনগুলি মোর
ছিঁড়ে ছিঁড়ে হারিয়ে যাবে।
যা কিছু উজাড় দিয়েছিলে তুমি
হারিয়ে ফেলেছি সবটুকু তার
কখন তুলে নিলে হাতে যাবার ক্ষণে
মুঠি খুলে দেখি কিছু নেই সঞ্চয়।
শূন্য এখন দুঃখদিনের সকল স্বপ্নভার
আমার ছুটি ফুরাল যে কখন… কেমন যেন অন্যমনে
আমার সকল চেতনার বেলা…
আমার সকল উদাসী সময়,
আমার সকল সুশীল স্ব-যাপন…
থেমে আছে যেন কবেকার
বৈশাখী সেই একবেলা…
আর না-বলা এই শ্রাবণে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন