জন্মঋণ
সদ্য বিবাহিতা মেয়ে তার বিদায়বেলায়
দু’হাতের আজলায় দুমুঠো চাল ভরে
পেছনে ছুঁড়ে দেয় তার মায়ের শাড়ির আঁচলে
বলে মা তোমার জন্মের ঋণ শোধ করে গেলাম
মায়ের রান্নার চালেই মায়ের ঋণশোধ
আশ্চর্য তাই আবার কখনও হয় নাকি
অথবা যখন আসে মৃত্যুর ডাক
বিশাল মহীরুহের গায়ে জড়ানো লতা ডাকে আয়
নষ্ট জীবন তখন দোল খায় মহীরুহে লতায় পাতায়
আমি বুঝি না কেন জন্মঋণের কথা বলা হয়
আমি বুঝি না কেন মৃত্যুরও ঋণ থেকে যায়
মানুষ তো জন্মায় নিত্য উজবুকের মতো
কিছুদিন বেঁচে থাকা হাঁটাচলা খেলাধুলা
তারপর মরে যায় আস্ত পাকা গাড়োলের মতো
আমি তো এই বুঝি আমরা সবাই রবাহুত
আসিনি স্বেচ্ছায় যাওয়াটাও ইচ্ছাধীন নয়
কে কবে কাকে দিয়েছিল প্রতিশ্রুতি কোনো
কে কাকে কবে দিয়েছিল দুঃখ অথবা সুখ
কী আর যায় আসে তাতে
জন্ম আর মৃত্যুরই বা কী আছে মানে
জন্মঋণ থাকে না কোনো তবু যদি থাকে
মৃত্যুতে শোধ হয় সুদে ও আসলে
খুব সুন্দর
উত্তরমুছুন