কবি প্রণব বসুরায়
আজন্ম শ্রীরামপুর নিবাসী। কর্মক্ষেত্র ছিল অধুনালুপ্ত এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক। কবিতা প্রথম ছাপা হয় ১৯৬৪ সালে। তাঁর পরিচিতি গত শতকের সাতের দশকের কবি হিসেবেই। প্রথমে যুক্ত ছিলেন “কণ্ঠস্বর” পত্রিকায়, প্রকাশক হিসেবে। একক সম্পাদনায় “শ্রাবস্তী” “বিনোদন” প্রকাশ করেছেন। সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য হিসেবে যুক্ত ছিলেন “শীর্ষবিন্দু” পত্রিকার সঙ্গে। পরে ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ওই পত্রিকা একক সম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন। ২০১৮ সালে পত্রিকাটির ৫০ বছরে, যুগ্ম সম্পাদনায় প্রকাশ করেছেন “শীর্ষবিন্দুঃ কবিতার ৫০ বছর” নামের কাব্য সঙ্কলন। নিজের কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা এখন অবধি ৬টি। লিখেছেন এবং এখনও লিখছেন ছোটো বড়ো বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়, ব্লগজিনে। ১ ডিসেম্বর ২০২২, কবি প্রণব বসুরায়-এর প্রয়াণে ‘রঙিন ক্যানভাস’ পরিবার শোকাহত।
রোদ দিও এই শীতে
আসন্ন শীতের কথা ভেবে ভয় পাই, পাতা ঝরছে
আমার বারান্দায় রোদ নেই, শুধু ঝরা পাতার খসখস
...... আমাকেও সঙ্গে যেতে বলে
অনিচ্ছায় তৈরি হয়েই আছি- ইচ্ছাপত্রে স্বাক্ষর করেছি
তবুও গাভির চোখের দিকে তাকালে মায়া লাগে
ভরাখেত আমার বিকেল-খেলার মাঠ, আর দূরে ওই
সার্জেন সাহেবের কুঠি, আমার প্রথম ফুল সেই বারান্দায়
ছিন্ন হয়ে পড়েছিল, আছে-- হয়ত এখনও
মাঝের যাপন, থাক কথা-- দরকার নেই আজ
ঝড় এলে গাছের নিচে ভিজেছি, ভেজা কাপড়ে
চলে গেছি কুন্তীনগরে, সাগর পারের ঠিকানায়
সে ছবি অক্ষত আছে, সে-ই আমার বাঁচন-মরণ
[রোশনি, দেখে নিস তো এই কবিতাটা দিয়েছিলাম কিনা -- না দিলে মনে হয় এটাই শেষ লেখা হবে। যাই হোক জানাস
----- প্রণব মামা
১৩.১১.২০২২]
যত দিন ছিলেন, ভালবাসার ছাতা ধরেছিলেন মাথার ওপরে। আপনার কবিতা থেকে অনেক কিছু শিখেছি। কখনো প্রণাম করিনি। আজ আপনাকে প্রণাম জানালাম। ভালো থাকুন আমার দাদাসাহেব।
উত্তরমুছুন2016 সাল থেকে মৃত্যুর আগের দিন অবধি হুগলি জেলার রিষড়া থেকে শ্রী সুরজিত সেনগুপ্ত মহাশয়ের সম্পাদনায় প্রকাশিত সাহিত্য পত্রিকা "এখন তমোহা"র সার্বিক উপদেষ্টা হিসেবে আমাদের আলো দিয়ে গেছেন।
উত্তরমুছুন"এখন তমোহা"র সহসম্পাদক শ্রী হিমাদ্রি বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজের কাব্যগ্ৰন্থের সংখ্যা এখন অবধি ৬টি। লিখেছেন এবং এখনও লিখছেন......১ ডিসেম্বর, ২০২২ প্রণব বসুরায়ের প্রয়াণে রঙ্গিন ক্যানভাস পত্রিকা শোকাহত ?? মানে কি?
উত্তরমুছুন