একটি গাছ
নদীর বালুতটের কাছে বৃক্ষটি তো
তুলে ধরেছে উপর ডালপালাকে
আকাশমুখী আঙুলগুলি অনুপনীত,
মর্ত্যে বাঁধা, স্বর্গসংরাগে।
এই তাহলে মানবাত্মা : মাটির খিদেয়
শরীর, মগজ স্বর্গ-উড়াল ঠেকিয়ে দেয়।
(মূল কবিতা : এ ট্রি, অনুবাদ : অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত)
সন্ধ্যা
একটি স্বর্ণিল সন্ধ্যা, যখন ভাবুক সূর্য তার
চলনে প্রথানুগত জৌলুস খারিজ করে, যত
গাছগুলি নুয়ে পড়ে তাদের হরিৎ সঙ্গিনী ও
সফল মাতার দিকে, ওরা অর্ধোচ্চার – আর এই
বিশাল স্থির সমুদ্র। এ প্রহর ঈশ্বরের সবচেয়ে সমীপে।
দীর্ঘ পথগুলি যবে অতিক্রান্ত ছিল সেই প্রত্ন, ঋদ্ধ সময়ের মতো।
(মূল কবিতা : ইভনিং, অনুবাদ : অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত)
জীবন ও মৃত্যু
জীবন ও মৃত্যু – মৃত্যু ও জীবন; শব্দদুটি বহমান যুগে যুগে
আমাদের চিন্তাস্রোতে, চেতনায় সুদৃঢ় প্রোথিত;
দুই বিপরীত, কিন্তু এখন দীর্ঘ পাতায় লুকায়িত;
এবার মুক্ত, স্বাধীন, সত্য যে স্বপ্নেও অকল্পিত
কেবল জীবন কিংবা মৃত্যু, যেন ছদ্মবেশী প্রাণ,
জীবন সে ক্ষণিক মরণ, যদি না বিস্ময়ে হই চমকিত।
(মূল কবিতা : লাইফ অ্যাণ্ড ডেথ, অনুবাদ : তরুণ মুখোপাধ্যায়)
পদ্মাসীনা সরস্বতী
মাগো, তোমার অশ্রু নামে দ্রুত পদ্মদলে,
ওগো মাতা শ্বেতভুজা, মধু যেন ঝরে অশ্রুজলে;
যদিও তাদের মধুরতা আর হয় না উজ্জ্বল,
সে সোনালি আলো, সে সুবাস স্বর্গের সম্বল;
সেই আলো, সে সুরভি মুছে গেছে চিরতরে
তার দুটি ঠোঁট থেকে; সে মৃত তবুও অমর তব বরে।
(মূল কবিতা : সরস্বতী উইথ দ্য লোটাস, অনুবাদ : তরুণ মুখোপাধ্যায়)
কবি পরিচিতি ও তথ্যসংকলন : ঋতম্ মুখোপাধ্যায়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন