ফুলস্কেপ কাগজের আদ্ধেক
তিনি টিটকারি দিয়া কহিলেন, আমার বেশ সুবিধা। আমি নাকি মাঝেমধ্যে ভাব আসে আর লিখিয়া ফেলি ফুলস্ক্যাপ কাগজের অর্ধেক। উহাকে কবিতা বলা যায় না। ফলতঃ তিনি বিভিন্ন শিরোনামে ইয়ার্কি করিতে থাকেন।
কবিতা কেবলমাত্র কবির হাতেই আলগোছে হইয়া ওঠে। বীণা যেমন সকলে বাজাইতে পারে না কবিতাও তেমনি। সকলেই কবি নয় কেউ কেউ কবি। তাহাতে না দমিয়া ওইসকল ছাইপাঁশ কবিতারূপে পাঠ চলিতে থাকিলে প্রশংসাকারিগণ ‘চুতিয়া’ আর আমি ‘ভালোবাসা ধন্য আবাল হৃদয়’ অভিধা লাভ করি।
ধারালো জিভের কষ রসের ন্যায় ঝরাইয়া বলেন, আমি ও আমরা কখনো এই সিণ্ডিকেট কখনো সেই প্লাটফর্মে শোভিত হইতে থাকি। ক্ষমতাবান বাচ্চা ও মুরুব্বি বুদ্ধিজীবীদের সম্মিলনে সদলবলে দশচক্রে ঘুরি তাহার পর মৌসুমি ফলের মতো দশচক্রের গাছে গাছে ঝুলিয়া পড়িয়া দেখি কোথাও শিকা ছিঁড়িলো কি-না।
ইহাতেও আমার আবালপনার গতি রুদ্ধ হয় না। বরং খ্যাতিমান কবিদের মতো তেমন তেমন হৃদয়গ্রাহী কবিতা লিখিতে পারি না জানিয়াও 'আমি কি ডড়াই সখী ভিখারি রাঘবে' ভাব লইয়া বীরবিক্রমে আবারও ঝটপট লিখিয়া ফেলি ফুলস্কেপ কাগজের বাকি আদ্ধেক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন