দুই দিক
বাড়িয়েই দিতে পারি হাতের তালু :
পুরস্কার নিতে নয়, প্রধানশিক্ষকের সপাং সপাং বেত
হাত পেতে নেব বলে।
সত্যকে হাত পেতে নেওয়া,ব্যথার সাক্ষ্য নিয়ে
রক্তস্রোত শিরা-ধমনীর পথ বেয়ে
পৌঁছে যাবে মস্তিষ্কের কোষে ও হৃদয়ে;
শিক্ষার সখ্য সত্য বহন করে এনে, বিলিয়েই বন্ধু হয়ে যায়।
ঘুরিয়েও নিতে পারি হাতের তালু :
ভিক্ষা গ্রাহ্য না করে বর্জনের বিপ্লবী মুদ্রায়
বেঁচে বেড়াবার জেদ— শিক্ষা অগ্রাহ্য করে নিজের দিকেই
তাকাবার প্রশস্ত আকাশপ্রতিম অনড়তা—
অনমনীয় অ-যুক্তি থাকে বাসা বেঁধে ।
এ যেন চাঁদের এ-পিঠ ও-পিঠ !
চরিত্রের সাদাকালো আলোছায়া প্রদর্শনী-খেলা;
পদ্মপাতার ওপরে টলমলে জলে মুক্তোর মনীষার
নিশ্চিন্তে শয্যা পেতে থাকা,
নয়ত, জলাশয়ে তরঙ্গবৃত্ত এঁকে অতলে তলিয়ে গিয়ে বৃষ্টিফোঁটার
ভিন্ন ভিন্ন অনিশ্চিতে প্রাণ সঁপে দেওয়া।
এ যেন মুদ্রার এ-পিঠ ও-পিঠ!
একই উৎপত্তিগত কেন্দ্রবিন্দু থেকে বেরিয়েও
একজন মান পায় চিহ্নিত মূল্যের পরিমাপে
অন্যজনের তাবিজে জন্মস্থান-জন্মদিন মুদ্রিত থাকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন